সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিডার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই’র নবনির্বাচিত সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিডার পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের সাথে অনলাইনভিত্তিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে এবং এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২০ সালে দেশে স্থানীয় বিনিয়োগ বিগত বছরের চেয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটি আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সক্ষমতারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বিশেষত সমুদ্র ও স্থলবন্দরসমূহের সাথে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ আরও আধুনিক করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং পণ্য ও সেবা আমদানিতে সাশ্রয়ী উৎস খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী ৫-৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২০’ আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ২২৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ১৭৬টি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে এবং এ বিষয়ে বিডা’র পক্ষ হতে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা চেম্বার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে ‘রোড-শো’ আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং এ ধরনের আয়োজন বিডার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বিডা প্রবর্তিত ‘ওয়ান-স্টপ-সার্ভিস (ওএসএস)’-এর আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও সেবা অন্তর্ভূক্তকরণের প্রস্তাব করেন, যা উদ্যোক্তাদের সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।
এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিডার সাথে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ডিসিসিআই’র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।