গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের শীর্ষ বৈঠকের প্রাক্কালে সোমবার সৌদির সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা করেন কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী আহমেদ নাসের আল-সাবাহ। তিনি জানিয়ে দেন, রিয়াধ তাঁদের স্থল সীমান্ত কুয়েতের জন্য খুলে দেবে। আকাশ ও সমুদ্র পথও খুলে দেয়া হবে।
কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ নাসের আল-সাবাহর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, কুয়েতের আমির কথা বলেছেন সৌদির যুবরাজ এবং কাতারেরআমিরের সঙ্গে। তিন নেতা একত্রিত হয়ে বিবৃতিতে সই করবেন এবং ভাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক শুরু হবে।
কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফের প্রস্তাবে একমত হয়ে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে আকাশ, স্থল ও নৌ সীমান্ত খুলে দিচ্ছে।’ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এর আগে কাতারের আমির ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলেছেন কুয়েতের আমির।
সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য এই চার দেশ ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল কাতারকে। তার মধ্যে ইরানের সঙ্গে দূরত্ব ছাড়াও আল জাজিরা নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ার শর্ত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে কতগুলি শর্ত কাতার মেনেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
কাতার হলো এই অঞ্চলে সব চেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। তাদের বক্তব্য ছিল, চার দেশ যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে কাতারের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত করা হয়েছে।
একদিকে সৌদি সহ চার দেশ, অন্যদিকে কাতার, এই দুই তরফের ঝগড়ায় মধ্যস্থতার ভূমিকা নেয় কুয়েত। ২০২০-র ডিসেম্বরে কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট সব দেশই আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলির ঐক্যের পক্ষে। সে সময় কাতারের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, কোনো দেশই তাদের দাবি অন্য দেশের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না। প্রতিটি দেশ স্বাধীনভাবে নিজের বিদেশনীতি নিয়ে চলবে। মধ্যস্থতাকারী কুয়েত শেষপর্যন্ত সাফল্য পেল।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সৌদি আরব তখন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। আমিরাত, বাহরিন এবং মিশরও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়।