এদিকে পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় শামশুল আলম ওরফে কালা শামসু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলার রয়েছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।আহত তিন পুলিশ হলেন এএসআই রতন (৩১), কনেস্টবল শরিফুল (৪৬) ও বলরাম (২৫)।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে আটক করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে হাবিরছাড়া এলকায় পৌঁছলে তার লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় গোলাগুলিতে আহত হন ওই তিন পুলিশ সদস্য।
তিনি জানান, দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে সে কার গুলিতে মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটক শামসুল আলম একজন র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার বুকের বা পাশে গুলির আঘাত রয়েছে। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়। আহত তিন পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি হাফিজুর রহমান জানান, লাশময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান।
নিহত পরিবারের দাবি, শামসুল আলম পুলিশের হাতে আটকের খবর শুনে ব্যাডমিন্টিন খেলা শেষে ঘটনাস্থলে ভাইকে দেখতে ছুটে যান খোরশেদ আলম। এসময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।