সম্প্রতি মার্কিন সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের করা তালিকায় বাংলাদেশের এ অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের ১৯০টি দেশ নিয়ে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে করা ওই জরিপে বাংলাদেশের স্কোর ৬১ দশমিক ৬৭।
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্কোর হচ্ছে ৯৮ দশমিক ০৯। এর পরেই হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান। দেশ দুটির স্কোর যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ২৯ ও ৯৪ দশমিক ১১।
তালিকায় ৯৩ দশমিক ৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারত। এরপর যথাক্রমে আছে ফ্রান্স ও জার্মানি। সপ্তম স্থানে আছে জাপান, অষ্টম অবস্থানে যুক্তরাজ্য। নবম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া আর দশম অবস্থানে ইসরায়েল।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ৭৩ দশমিক ২২ স্কোর নিয়ে ৩৭তম অবস্থানে আছে পাকিস্তান।
আর ৬১ দশমিক ৭০ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৮০তম অবস্থানে আছে। তালিকার সবার শেষে আছে স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
সিইওওয়ার্ল্ড শক্তিমত্তার সাতটি দিক বিবেচনা করে এই তালিকা প্রণয়ন করেছে। সেগুলো হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রভাব, প্রতিরক্ষা বাজেট, অস্ত্রভান্ডার, বৈশ্বিক জোট, কূটনৈতিক ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি।
যে সাতটি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এই র্যাঙ্কিং করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আবার ৬০টি সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিটি সূচককে আবার ১ থেকে ১০০-এর মধ্যে সাজানো হয়েছে। এই সূচকগুলোর মধ্যে আবার কিছু উপসূচকও আছে।
১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিইওওয়ার্ল্ড সাময়িকী গ্লোবাল বিজনেস পলিসি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এই জরিপ পরিচালনা করেছে।