এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। তিন দিন পর তার হাত ও পায়ে ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। এ অবস্থায় তিনি মাউন্ট সিনাই মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। এ সেন্টারে তিনি গত ১৫ বছর ধরে কাজ করে আসছিলেন।
মাইকেলের স্ত্রী হিদি নিকেলম্যান জানান, মেডিকেল সেন্টারে ভর্তির পর তার ব্লাড কাউন্ট স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে যায়। পরে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দুই সপ্তাহ ধরে মাইকেলের রক্তের প্লাটিলেট বাড়ানোর চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
তার স্ত্রী আরও জানান, মাইকেল খুবই সচেতন ও এনার্জেটিক ছিলেন। তার মৃত্যুর আগে একটি অপারেশন করার প্রয়োজন ছিল; কিন্তু তার কয়েক দিন আগেই তিনি স্ট্রোক করেন এবং মারা যান।
মাইকেলের চিকিৎসার জন্য আমেরিকার সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যুক্ত হয়ে পড়েন; কিন্তু কোনো প্রচেষ্টায় সফল হয়নি এবং মাইকেলের রক্তের প্লাটিলেট বাড়েনি।