এক্ষেত্রে স্থগিত পরীক্ষা ৪ ঘণ্টার হবে। তবে নতুন করে যেসব পরীক্ষা শুরু হবে, তা হবে ২ ঘণ্টার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এটাই ঢাবির একাডেমিক সিদ্ধান্ত।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্তের কথা জানান, কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তিনি জানান, করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, পূর্বে যেখানে ৪ ঘণ্টায় শিক্ষার্থীরা ৮০ নম্বরের উত্তর প্রদান করতেন সেখানে পরীক্ষার্থীরা এখন ২ ঘণ্টায় ৮০ নম্বরের উত্তর প্রদান করবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ার বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আটকে পড়া পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা যায়। এতে করে সেশনজট কমানো সম্ভব হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত হয়। আমরা এককভাবে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি না।
প্রসঙ্গত, সেশনজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন ও প্রধান সমন্বয়কারীর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট ডিন, সরকারি ৭ কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
১৪ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের অসমাপ্ত পরীক্ষা ও ২৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।