ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অফিসার্স সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার বলেন, দুপুরে আট থেকে ১০ ছাত্র ফরিদুল আলমের কক্ষে এসে হট্টগোল করে। আমি গিয়ে দেখি তারা ফরিদুল আলমকে কান ও কলার ধরে কক্ষের বাইরে বের করছে। পরে ওই ছাত্রদের হাত থেকে ফরিদুল আলমকে রক্ষা করি।
পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে জামায়াতের রাজনীতি করার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা জানি না। তবে এ ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ওই ছাত্ররা তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। কোনো কথা ছাড়াই তাকে মারধর ও গালাগাল করে।
হিসাব নিয়ামককে মারধরের ঘটনায় তাৎক্ষণিক চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রধান করা হয়েছে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুরকে। চার কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার সমকালকে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।