প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সংসদে আমি যখন প্রথম আসি, তখন বাজেটে ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হয়েছিল কৃষকের জন্য। সেখানে আরো কিছু সামাজিক নেট রাখা হয়েছিল। এটা তখন আমাদের মতো দেশের জন্য ছিল খুব সাহসী সিদ্ধান্ত। এবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা দিলেন যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই, ঘরবারি নেই তাদের জন্য আবাসন তৈরি। তিনি সবাইকে ঘরের ব্যবস্থা করবেন। এটা আমেরিকাতেও সম্বব নয়, গোটা উইরোপেও সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তিনি এটা দেখভাল করবেন। এটা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। এর চেয়ে বড় শক্তিশালী ভূমিকায় কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হতে পারেন, এটা কল্পনা করতেও ভয় লাগে। তিনি সেটা ডেলিভার করবেন, সেটা আমাদের সবাইকে বিশ্বাস রাখতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে ওপরের দিকে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সেন্টার ফর ইকোনমিক্স রিসার্চের তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের উপরে যাব। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী হাত ধরেই ২০৩০ এর স্বপ্ন পূরণ হবে এবং ২০৪১ এর স্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে পারব। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, তৃণমূলে ৭০-৮০ ভাগ মানুষ যারা বসবাস করেন, তারা উন্নয়ন চান। শুধু কথার উন্নয়ন নয়, দেখতে চান চোখে। সেতু-কালভার্ট ইমিডিয়েটলি দেখতে চান তারা। ঘরে বিদ্যুৎ তারা এইবেলায় চান। ভাতা বা অবলম্বন, পরিষ্কার পানির স্বপ্ন এগুলোই তারা চান।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরুপে সাহায্য-সমর্থন পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ না। আপনারা যে ক’দিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ অবাধ সহযোগিতা দেয়া হবে।