সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। তিনি জানান, আগের নির্দেশনা অনুসারে আজ আদালতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং সাইবার পুলিশ সেন্টারের পক্ষ থেকে দুটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
বিটিআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হইচই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, বঙ্গবিডির মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে বাংলাদেশে কোনো রাজস্ব আদায় হয় না। কোনো ধরনের রেগুলেশন না থাকায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে না।
সাইবার পুলিশ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইন থাকলেও এসব ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অশ্লীলতা রোধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নাই। এর ফলে সব সময় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যদি নীতিমালা হয়, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত একটি খসড়া নীতিমালা করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ থেকে অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইনবহির্ভূত ভিডিওর অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং খামখেয়ালি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি আগের আদেশ অনুসারে চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইনবহির্ভূত ভিডিওর অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে এবং এসবের সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজকসহ জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।