আর টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোন ফি নেয়া হলে তা সমন্বয়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দেশের সব বেসরকারী কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসাগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো সেই চিঠিতে বলা হয়, করোনার বৈশ্বিক মহামারীর কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভূত এ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, করোনার প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণ খাতে আবশ্যিকভাবে অর্থ ব্যয় করতে হয়। তবে অভিভাবকদের আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বেসরকারী কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (এমপিও/নন-এমপিও) এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বেসরকারী মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (এমপিও/নন-এমপিও) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি আদায় করবে। টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোন ফি আদায় করা যাবে না। টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোন ফি আদায় করা হলে তা পরবর্তীতে টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরও স্কুল-কলেজগুলোকে টিউশন ফি মওকুফ/হ্রাসের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিল।