উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল ফোরকান বুলবুল, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিজাম উদ্দিন ফারুক ও আনোয়ার হোসেন রোজেনসহ শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ বেলাল হোসেন ওই ৫ জনকে কালেমা পড়ান।
ইসলাম গ্রহণের পর তারা মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট এ এম এমরান হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে এফিডেবিট সম্পন্ন করেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর অনিল চন্দ্র কর (৫০) নিজের নাম ওসমান গনি রাখেন। তার স্ত্রী মনি কর (৩৬) নতুন নাম রাখেন বিবি আমেনা। ছেলে নিখিল চন্দ্র কর (২০) নাম রাখেন আবুল কালাম। ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র কর (১৮) নাম রাখেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং মেয়ে সোমা কর (১০) নিজের নাম রাখেন বিবি ফাতেমা।
উল্লেখ্য, সিলেটের বড়লেখা উপজেলার গ্রামতলী নামক গ্রামের মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র কর ও নটারানী করের ছেলে অনিল চন্দ্র কর স্ত্রী-সন্তানসহ ১৫ বছর আগে ফেনীতে চলে আসেন। ফেনীর দাগনভূঞার চন্ডিপুর গ্রামের মেসার্স এসকে রাইস মিলে সপরিবারে কাজ করেন।
দীর্ঘদিন রাইস মিলে চাকরি করার পর মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে তার পরিবার চন্ডিপুরের একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। এখানেই অটোরিকশা চালিয়ে জীবন-যাপন করে আসছিলেন অনিল চন্দ্র কর।
এক সময় চন্ডিপুরের স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নিজাম উদ্দিন ফারুক চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এ পরিবারের ইসলাম গ্রহণের ব্যবস্থা করেন।
নওমুসলিম মোহাম্মদ ওসমান গনি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছেন তিনি।
সূত্র: জাগোনিউজ ও সময় টিভি।