এর আগে, সেলাই মেশিন বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার। রোহিঙ্গা নারীদের সেলাই মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
রিভা গাঙ্গুলী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেহেতু এটি মুজিববর্ষ তাই বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকে বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত সরকার। তারই অংশ হিসেবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বেশ কিছু বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। যাতে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়ে ফেরা রোহিঙ্গারা সেখানে থাকতে পারেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কাজ করা হচ্ছে।
ভারতীয় হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ৫ম চালানে প্যাডেলযুক্ত এক হাজার সেলাই মেশিন, ৩২টি অফিস তাঁবু, ৩২টি উদ্ধার সরঞ্জাম, ৯৯টি ফ্যামিলি তাঁবু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পঞ্চম চালানটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া একটি প্রক্রিয়ার অংশ, যখন ভারত সরকার মানবিক সহায়তার প্রথম চালান সরবরাহ করেছিল। ৯৮১ মেট্রিক টনের এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, লবণ, রান্নার তেল, চা, নুডলস, বিস্কুট, মশারী ইত্যাদি। ২০১৮ সালের মে মাসে, ভারত ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করে। যার মধ্যে ছিল ১০৪ মেট্রিক টন গুড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য এবং বর্ষা মৌসুমে ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার রেইনকোট ও ৫০ হাজার জোড়া গামবুট।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় চালানটি সরবরাহ করা হয়, যেখানে ভারত ১১ লাখ লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ হস্তান্তর করেছিল এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার কম্বল, দুই লাখ উলের সোয়েটার এবং ৫০০টি পরিবেশবান্ধব সৌর সড়কবাতি।
ভারতীয় হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রতিবেশী হিসেবে ভারত যে কোন বাধা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সদা প্রস্তুত। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা ও মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ভারত। এই ত্রাণসামগ্রীগুলো বাংলাদেশের জনগণের মানবিক প্রচেষ্টায় সহায়তা করার দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে।