বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান ভূঁঞা, চারুকলা বিভাগের মো. আকাশ হোসেন ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের মো. তামিম হোসেন ও মো. রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. ফয়জুল ইসলাম নিরব, বাংলা বিভাগের মো. শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ ও মো. রোজেন নুর এবং বাংলা বিভাগের সারোয়ার হোসেন সাকিল।
তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে শিহাবকে দুই বছর ও বাকিদের এক বছর করে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। বহিষ্কারের নির্ধারিত সময়ে এই শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল কিংবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। এ ছাড়া বহিষ্কারাদেশ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হল ছেড়ে তাদের জন্য বরাদ্দ করা হলে ওঠারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গণরুমে যান বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাসহ দ্বিতীয় বর্ষের একদল শিক্ষার্থী। র্যাগ দেওয়ার একপর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আলমকে ডেকে নিয়ে তার পরিচয় জানতে চান তারা। এ সময় ফয়সাল উচ্চস্বরে হলের নাম বলতে না পারায় তাকে বিভিন্ন রকমের শারীরিক কসরত করতে বলা হয়। ফয়সাল রাজি না হলে তার ডান গালে থাপ্পড় দিতে থাকেন শিহাব। এতে ফয়সাল মাটিতে পড়ে যান এবং তার কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরপর দুটি থাপ্পড়ে ফয়সাল বাকরুদ্ধ হয়ে যান। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ফয়সালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।