বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সফট লোন অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব এসএম আকবর হোছাইন।
তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন অনলাইনে ক্লাসের প্রয়োজনে স্মার্টফোন কিনতে শিক্ষাঋণ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৪০৪ জন শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটলোন অনুমোদন কমিটির সুপারিশের পর ফাইন্যান্স কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আগামী সপ্তাহের যেকোন দিন শিক্ষার্থীরা ইএফটি (EFT)-এর মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাঋণের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করার পর শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে ইউজিসিকে আমরা একটি তালিকা পাঠিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থীকে সফটলোন প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়। পরে এই তালিকা স্ব স্ব বিভাগে পাঠানোর পর বিভাগ থেকে পাঠানো ফিরতি তালিকায় ৩ হাজার ৩১৯ জনের নাম আমরা হাতে পাই।’
তিনি বলেন, ‘পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ৩ হাজার ৩১৯ জনকে একটি ফরম পূরণ করতে বললে নির্ধারিত সময়ে ১ হাজার ৫৪৩ জন ফরম পূরণ করে। এরপর এই তালিকা ভেরিফাই করা পর দেখা গেছে অনেকে আবেদন করেছে ৩ হাজার ৩১৯ জনের বাহিরে, আবার কেউ দুইবার আবেদন করেছে। সবকিছু যাছাই বাছাই শেষ করে আমরা সর্বশেষ ১৪০৪ জনকে চূড়ান্ত করি।’
প্রসঙ্গত, গতবছর ৪ নভেম্বর অনলাইন প্লাটফর্মে ইউজিসি আয়োজিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ে সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
সভায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক গঠিত ‘সফট লোন অনুমোদন কমিটির’ সুপারিশের আলোকে অনধিক ৮ হাজার টাকা শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়। এই ঋণ শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন তারা এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’