ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেও যে নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে তোলার একটা ইচ্ছা রোনালদোর মধ্যে ছিল, সেটাই যেন জানিয়ে দিলেন রিও ফার্ডিনান্ড।
ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই সেন্টারব্যাক এককালে ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনালদোর সতীর্থ। দুজন মিলে দলকে জিতিয়েছিলেন ট্রেবল, ইউনাইটেডের সেই দলটাকে ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা দল মানা হয়। সে দলের সবচেয়ে বড় রত্ন মানা হতো রোনালদোকে।
কিন্তু স্পোর্তিং লিসবন ছেড়ে রোনালদো যখন ইউনাইটেডে আসেন, তখন তো আর অত বড় তারকা ছিলেন না। ছিলেন এমন একজন, যিনি কিনা নিজের প্রতিভা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে উন্মুখ। তখন ইউনাইটেডের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতেন ডাচ্ তারকা রুড ফন নিস্টলরয়। গোল করার মূল দায়িত্ব তাঁর ওপরেই ছিল।
গোল করার ব্যাপারটাকে একদম ঘোরের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন নিস্টলরয়। আর নিয়মিত গোল না পেলে বিরক্ত হয়ে যেতেন। নিজেকে প্রমাণ করতে চাওয়ার নেশায় মত্ত রোনালদো একবার নিস্টলরয়কে বেশ ভালোই বিরক্ত করেছিলেন।
কীভাবে? শুনুন ফার্ডিনান্ডের মুখেই, ‘রোনালদোর স্কিল অন্য মাত্রার ছিল। ও সব সময় দর্শকদের মুগ্ধ করতে চাইত ওর স্কিল দিয়ে। বল নিয়ে কারিকুরি করতে চাইত অনেক। একদিন এই কারিকুরি করতে গিয়েই রুডের বিরক্তির পাত্র হয়েছিল সে।’
‘রুড তখন আমাদের মূল স্ট্রাইকার ছিল, সব গোল ও–ই করার চেষ্টা করত। তো একদিন উইংয়ে রোনালদো বল পেল। রুড যথারীতি ডি-বক্সের মধ্যে গোল করার মতো জায়গায় চলে গেছে। অপেক্ষা করছে রোনালদোর ক্রসের। কিন্তু ওদিকে ক্রস না দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করার জন্য রোনালদো বল নিয়ে কারিকুরি করা শুরু করে দিয়েছে। সেটা দেখে রুডের মাথা গরম হয়ে গেল। ও চিৎকার করা শুরু করল, “এই ছেলে খেলার পিচে কী করে? ওর তো সার্কাসে থাকা উচিত ছিল!”’ - বলেছেন ফার্ডিনান্ড।