শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে এক টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি। ফলে এখন থেকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাইলে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনার টিকাও ব্যবহার করতে পারবে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, চূড়ান্তভাবে করোনা নির্মূল করতে হলে কোনো একটি জনসংখ্যার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে কার্যকর অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থাকতে হবে। এরই অংশ হিসেবে ধাপে ধাপে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে কমপক্ষে ৪৫০ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাসকিনেশনের আওতায় আনা হবে।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে ফাইজার, মডার্না, জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল এনভি, কিউরভ্যাক, অ্যাস্ট্রোজেনকা, সানোফি, গ্ল্যাক্সোস্মিথ ক্লাইনসহ ভ্যাকসিন সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে টিকা কেনার অগ্রিম চুক্তি সই করে রেখেছে। এর অংশ হিসেবে আগামী আগস্টের মধ্যে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়নসহ মোট ৪০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সরবারহ করার কথা।
তবে অ্যাস্ট্রোজেনকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে তাদের যে দুটি টিকা প্রস্তুতকারী প্ল্যান্ট রয়েছে, পর্যাপ্ত সক্ষমতার অভাবে তারা সেখানে আশানুরূপভাবে টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে না।
বিশ্বের মধ্যে রাশিয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিজেদের তৈরি টিকা ব্যবহার শুরু করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য এই টিকা ব্যবহার শুরু করেছে। ফাইজারের টিকা যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবহারও শুরু হয়েছে। এছাড়া কানাডা, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশে ফাইজারের টিকা অনুমোদন ও ব্যবহার শুরু হয়েছে।