গত বৃহস্পতিবার টয়োটা গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর তারা ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ইউনিট বিক্রি করেছে। যেখানে তাদের ভর্তুকি দেয়া দায়হাত্সু মোটর গ্রুপ করপোরেশন এবং হিনো মোটর লিমিটেডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিপরীতে ফক্সওয়াগন চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছে, গত বছর তারা ৯৩ লাখ ১০ হাজার গাড়ি বিক্রি করেছে।
মহামারীর কারণে গাড়ি নির্মাতারা গত বছর বাজে সময় কাটানোর পরও টয়োটা দারুণ এই সাফল্য পেয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বছরের শেষ দিকে এসে গাড়ির চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়া। এদিকে আইএইচএস মার্কিটের করা হিসাব মতে, কারখানা ও শোরুমগুলো বন্ধ থাকার কারণে বসন্তকালীন বিক্রয় কমেছে ২০১৯ সালের ১৪ শতাংশ।
গাড়ি নির্মাতাদের জন্য ২০২০ সাল ছিল মূলত বিপর্যয়ের বছর। যেখানে ক্ষতির মাত্রা নির্ধারিত হয়েছে কোন অঞ্চল ভাইরাস দ্বারা কতটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে তা দ্বারা। ইউরোপিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফক্সওয়াগনের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। যেখানে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি নজিরবিহীনভাবে ২৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, সংখ্যার হিসাবে যেটি ছিল এক কোটির চেয়ে সামান্য কম। এই জার্মান গাড়ি নির্মাতার বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ১৫ শতাংশ। এক দশকের মাঝে যেটি সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স।
ফক্সওয়াগনের নির্বাহী অফিসার হার্বার্ট ডিয়েস ২০১৮ সালে চাকরিতে যোগ দিয়ে কৌশলগত পরিবর্তন নিয়ে আসেন। যেখানে বিক্রি বাড়ানোর পরিবর্তে লাভ উত্তোলনে অধিক মনোযোগ দেন। এর মাঝে মহামারীকালীন ফক্সওয়াগনের গাড়ির দাম বাড়ার বিষয়টিও সামনে আসে।
অন্যদিকে মার্কিন বাজারে টয়োটার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। ২০২০ সালে এ অঞ্চলে গাড়ি বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ১৫ শতাংশ। বৈশ্বিকভাবে সেই হ্রাস ছিল সব মিলিয়ে ১১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র কভিড-১৯ দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেখানে ইউরোপের মতো লকডাউন দেখা যায়নি, যা কিছুটা হলেও টয়োটাকে ভালো অবস্থানে থাকতে সাহায্য করেছে।
টয়োটার মুখপাত্র চিসাটো ইউশিফুজি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আগের বছরের চেয়ে বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু টয়োটা এবং এর অংশীদাররা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধ করতে সক্ষম হয়েছে, যা আমাদের করপোরেট কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি এর ফলে আমাদের বার্ষিক হ্রাসের স্তরকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে।