শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, মেঘালয়ে সিএএ ইস্যুতে খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১ জনের প্রাণহানী হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রচুর ভাঙচুরের ফলে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশ।
বর্তমানে রাজ্যজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বন্ধ রাখা হয়েছে মেঘালয়ের ছ’টি জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা। সেই সঙ্গে শিলং-সহ একাধিক জায়গায় কার্ফু জারি হয়েছে।
মেঘালয়ে সিএএ ইস্যুতে খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১ জনের প্রাণহানী হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার ও এনডিটিভি জানায়, সংঘর্ষ চলাকালীন বেশ কয়েকটি বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতেও। সংঘর্ষ চালকালীনই লুরশাই হাইনিউতা নামের এক কেএসইউ সদস্যের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন একাধিক পুলিশকর্মীও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিলং-সহ একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় পূর্ব জয়ন্তিয়া, পশ্চিম জয়ন্তিয়া, পূর্ব খাসি, রি ভই, পশ্চিম খাসি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পার্বত্য এলাকায়। মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে নজর রাখতে একাধিক জায়গায় নামানো হয়েছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)।
সীমান্ত সংলগ্ন উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বাইরে থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি লাগে, আক্ষরিক অর্থে যা ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) হিসাবে পরিচিত। সিএএ চালু হলে এই ইনার লাইন পারমিট প্রথার উপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা সেখানকার বাসিন্দাদের।
এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব খাসি পার্বত্য অঞ্চলের ইছামতী এলাকায় এ নিয়ে বিশেষ বৈঠক চলছিল কেএসইউ এবং অ-জনজাতি প্রতিনিধিদের মধ্যে। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় যার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।