মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সেনাশাসনের অবসানে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ায় নিন্দা জানান বাইডেন এবং দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে আটকে রাখার বিষয়টি ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে দেশটির উত্তরণের ওপর প্রত্যক্ষ আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন➥ আল জাজিরার সংবাদ ভিত্তিহীন দাবি, সরকারের প্রত্যাখ্যান
বাইডেন বলেন, ‘গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় গত দশকে মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন এ অগ্রগতির বিপরীত হলে প্রয়োজনে আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞা আইন এবং ক্ষমতা তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করবো এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেবো। ’
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।