তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদাকে কোনো তৎপরতা চালাতে না দেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে তারা। এখন আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, আল-কায়েদা ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলা চালানোর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী। ১৮ বছরের এই যুদ্ধের কত সংখ্যক আফগান বেসামরিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও তালেবান সদস্যের প্রাণ গেছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান বের করাটা কঠিন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যুদ্ধে ৩২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, আফগানিস্তানে যুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫৮ হাজার সদস্য এবং বিরোধী পক্ষের ৪২ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে আফগানিস্তানে অভিযানের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক যৌথ বাহিনীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার সৈন্য নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ এর বেশি যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, ১২ হাজারের মতো বিদেশি সৈন্য এখনও আফগানিস্তানে রয়েছে।