তিনি ২০০৬ সালে আইপিডিসি ফাইন্যান্সে যোগ দিয়েছিলেন। এর পরে ২০০৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
এর আগে মমিনুল ইসলাম আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকং, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তার নেতৃত্বে আইপিডিসি ২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে আসছে।এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে আইপিডিসি তাঁদের ব্যবসায় ও পরিচালনায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি পূর্বের তুলনায় আরো বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়। তাঁর অধীনে গত ৫ বছরে আইপিডিসি-র ঋণ পোর্টফোলিও বৃদ্ধি পায় ৮ গুণ এবং ডিপোজিট পোর্টফোলিও বৃদ্ধি পায় ৯ গুণ। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি এনপিএল (খেলাপি ঋণ)-এর হার ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। তাঁর প্রচেষ্টায় আইপিডিসি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় মডেল হিসেবে বিভিন্ন অভিনব উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে নারী, তরুণ ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীকেও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করে।
মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স খাতে উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য আইপিডিসি ফিলিপাইনভিত্তিক সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং ইনস্টিটিউশন ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (অ্যাডফিয়াপ)-এর ‘আউটস্ট্যান্ডিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। আইবিএমের সহযোগিতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ব্লকচেইনভিত্তিক ডিজিটাল সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্ল্যাটফর্ম ‘অর্জন’ প্রবর্তনের জন্য আইপিডিসি এই স্বীকৃতি গ্রহণ করে। আইপিডিসি'র সিইও মমিনুল ইসলাম অ্যাডফিয়াপ থেকে ‘আউটস্ট্যান্ডিং সিইও অ্যাওয়ার্ড’ পান।
২০১৯ সালে আইপিডিসি বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস-এ সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করে। বর্তমানে মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে আইপিডিসি সর্বোচ্চ ‘এএএ’ ক্রেডিট রেটিংপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দেশের একমাত্র ‘সুপারব্র্যান্ড’ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
মমিনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যাচেলর শেষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উপাচার্য স্বর্ণপদকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
চতুর্থবারের মতো আইপিডিসি'র এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, “আমি আইপিডিসি’র সাথে এই পথচলায় খুবই আনন্দিত। আইপিডিসি’র এই সেরা সময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সামনে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একটি অতিমারীর মাঝে আছি, এই কঠিন সময়ে আমাদের গ্রাহক, সমাজ এবং সহকর্মীদের পাশে থাকাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি আইপিডিসি বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কৃতজ্ঞ তাদের বিশ্বাস, নির্দেশনা এবং সহযোগিতার জন্য।”