বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চলমান বৈশ্বিক মহামারিতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফবিসিসিআই ও ফরেন ইকোনমিক রিলেশন বোর্ড অফ টার্কি ক্লাউডের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে প্রাক:কোভিড সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি ৪০০ শতাংশ ও বাণিজ্য ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন সম্পন্ন করেছি। আমাদের দারিদ্রের হার ৪৬ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশে বর্তমানে ১২০ টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী চালু রয়েছে। সরকার ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সভায় বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটনের বিকাশে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাসমূহ তুলে ধরে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করে এফবিসিসিআই।
ফরেন ইকোনমিক রিলেশসন বোর্ড অফ টার্কি-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল সভাপতি হোলইয়া গেদিক বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং দুই দেশের মধ্যে একটি কার্যকরী সম্পর্ক স্থাপনে এই সমঝোতা স্মারক একটি পরবর্তী পদক্ষেপ যেটি দুই দেশকেই উৎসাহিত করবে।
তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো, নির্মাণ, জ্বালানী, প্রযুক্তি, বস্ত্র ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান। এসকল বিষয়ে এফবিসিসিআই'র সহযোগিতা কামনা করেন।
ফরেন ইকোনমিক রিলেশন বোর্ড অফ টার্কির প্রেসিডেন্ট নাইল ওলপাক, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা উসমান তুরান এবং তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান সভায় বক্তব্য রাখেন।