স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার প্রথম বৈদেশিক নীতির ভাষণে এই আহ্বান জানান। মিয়ানমারে টেলিযোগাযোগের ওপর আরোপিত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানান বাইডেন।
এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্রে কখনই জোর করে জনগণের ইচ্ছা বিরুদ্ধে কিছুই করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ফলাফলকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা উচিত নয়।
জো বাইডেন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে ক্ষমতা দখল করেছে তা ছেড়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে কোনোভাবেই কোনো বাহিনীর জনগণের অভিপ্রায়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে নির্বাচনে অং সান সু চির দল বিপুল ভোটে জয়ী হয়। তবে এ নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান ও সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। যদিও নির্বাচন কমিশন বরাবর বলে আসছে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।
সোমবারই মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেনাবাহিনীর ক্ষমতাগ্রহণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের কারণে দেশটির ব্যক্তি ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ জারির কথা ভাবছে হোয়াইট হাউস।