জানা গেছে, বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পিপিই রপ্তানির লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটির। এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে যেমন নতুন মাত্রা যোগ হবে, তেমনি বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচিতি পাবে দেশ।
করোনার মহামারিতে অভূতপুর্ব সংকটে পড়ে গোটা বিশ্ব। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই-র তীব্র সংকট দেখা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় সব দেশেই। এমন সংকট মুহুর্তে এগিয়ে আছে বেক্সিমকো গ্রুপ।
অল্প সময়ের মধ্যেই মাস্ক, গাউন, জুতা-মাথার কাভার, গগলস উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ ফ্রন্টলাইনারদের জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পিপিই সরবরাহ করে বেক্সিমকো। শুরু করে রপ্তানিও। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রথম ধাপে রপ্তানি হয় ৬৫ লাখ পিস গাউন। আপস
তবে এ কাজ মোটেও সহজ ছিল না। পরীক্ষা-নীরিক্ষার ল্যাব ইউরোপ আমেরিকাকেন্দ্রিক হওয়া, কাঁচামালের বাজারে চীনের একক আধিপত্য- এমন নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার উদ্যোগ নেয় বেক্সিমকো। অল্প সময়ের ব্যবধানে যা এখন পুরোপুরি বাস্তব।
গাজীপুরের এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ফ্যাবরিক তৈরি এবং তা থেকে পিপিই উৎপাদনের জন্য আনা হয়েছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাঁচামাল এনে এখানেই তৈরি হবে উন্নতমানের পচনশীল ফেবরিক।
এখানে মাস্ক উৎপাদন হচ্ছে তিন ধরনের। সার্জিক্যাল,এন ৯৫ ও কেএন ৯৫। এসব পণ্য উৎপাদনে মিলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন। এই ইউনিটেই তৈরি হচ্ছে জুতা ও মাথার কাভারও।
গাউন তৈরির জন্য স্থাপন করা হয়েছে বড় ইউনিট। অটোমেটিক কাটিং ও সেলাই ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ যার বৈশিষ্ট্য।
মান নিয়ন্ত্রণে প্রায় একশ ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেকের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো। যার আওতায় পার্কেই স্থাপন করা হয়েছে বিশাল সর্বাধুনিক ল্যাব।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই-র বিশ্ববাজার প্রায় দুইশ বিলিয়ন ডলার। যেখানে একক আধিপত্য চীনের। তবে বিশ্লেষণ বলছে, দক্ষিণ এশিয়া হবে পিপিই উৎপাদনের নতুন হাব। যার কেন্দ্রে থাকবে বাংলাদেশ।