করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহান পরিদর্শনের পর যৌথ দল জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের আগে যে মানুষের দেহে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল, তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। এই দলে ১৭ জন আন্তর্তাজিক এবং ১৭ জন চীনা বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
যারা গত দুই সপ্তাহে উহানের হাসপাতাল, সামুদ্রিক খাবারের বাজার ও উহানের গবেষণাগারে গিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব প্রদানকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিজ্ঞানী পিটার বেন এমবারেক জানান, মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চারটি সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিষয় চিহ্নিত করেছে বিশেষজ্ঞ দল, যা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে আবার একটি হলো মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতির (ইন্টারমেডিয়ারি হোস্ট স্পেসিস)।
উহানের গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই সম্ভাবনা খুব একটা দেখেনি বিশেষজ্ঞ দল। বরং এমবারেক জানিয়েছেন, সেটার সম্ভাবনা সবথেকে কম। তিনি বলেন, ‘তথ্য অনুযায়ী, মানবদেহে সংক্রমণ ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে গবেষণাগারের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।’
এমবারেক বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সংক্রমণের মাধ্যম হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতির।’
তিনি বলেন, ‘উহান শহর বা সেখানের পরিবেশ যেহেতু বাদুড়ের বাসস্থানের কাছাকাছি নয়, তাই উহান শহরের বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণের বিষয়টি খুব একটা সম্ভব নয়।’
তিনি জানান, বাদুড়ের পরিবর্তে কোন প্রাণীর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল, তা খুঁজে বের করা চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতিকে চিহ্নিত করা যায়নি। উহান বাজারের কয়েকটি প্রাণীর নমুনা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলোর শরীরে করোনা থাকতে পারে। পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন অংশ বা বিভিন্ন ফার্মের কয়েকটি প্রাণীর নমুনাও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে বাদুড়ের শরীরের করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান বলেন, ‘এ ধরনের পণ্য নিয়ে যারা ব্যবসা করেন, যারা সরবরাহ করেন এবং যে ফার্ম থেকে ওই পণ্যগুলো আসে, সেগুলোর বিক্রেতাদের চিহ্নিত করেছে যৌথ দল।’