অস্ট্রেলিয়ান এই সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে যে কারখানাগুলিতে জোরপূর্বক কাজ করানো হয় সেই কারখানাগুলো নাইক, অ্যাপল এবং ডেলসহ ৮৩টি সুপরিচিত গ্লোবাল ব্র্যান্ডের সাপ্লাই চেইনের কাজ করে থাকে।
চীনের ক্যাম্পে আটক ওই সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়রা এখন ক্যাম্পে ‘গ্র্যাজুয়েড’ হচ্ছে গত ডিসেম্বরে চীনের সিনিয়র এক কর্মকর্তার এমন মন্তব্যর পর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট।
চীন এরই মধ্যে প্রায় দশ লাখ উইঘুরকে ক্যাম্পে আটকে রেখে শাস্তি ও মতদীক্ষা দিচ্ছে। তবে চীন বলছে, চরমপন্থা দমনের জন্যই এই ক্যাম্প করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি উইঘুর পশ্চিম জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল থেকে চীন জুড়ে কারখানায় কাজ করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অনেককে সরাসরি বন্দীশিবিরে পাঠানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘জিনজিয়াং এইড’ নামে কেন্দ্রীয় সরকারের নেয়া শ্রম স্থানান্তর প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। উইঘুরদের জন্য ‘নির্বিচারে আটকানো’ সাথে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি উপেক্ষা করে কাজের ওই দায়িত্ব প্রত্যাখ্যান করা বা পালানো ‘অত্যন্ত কঠিন’।
২০১৮ সালে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের ওপর ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ফাঁস হতে থাকে। তখন চীনের পক্ষ থেকে ওই বন্দি শিবিরকে ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দমনের জন্য ব্যবহার করা হতো।
কিন্তু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, শুধু ধর্মীয় আচার পালনের জন্যও অনেককে বন্দি শিবিরে রাখা হয়।
২০১৭ সাল থেকে চীনের নয়টি প্রদেশের ২৭টি কারখানায় জিনজিয়াং থেকে স্থানান্তরিত করে উইঘুরদের জোরর্পূ্বক শ্রমে ব্যবহার করে আসছে চীন।