শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের বিনামূল্যে টিকাদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ সাংসদ বলেন, দেশে প্রায় তিন মিলিয়ন (৩০ লাখ) অনিবন্ধিত অভিবাসী রয়েছেন। অভিবাসন নীতিতে আগে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘোষণার আলোকে চার্লস সান্টিয়াগো স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে অনিবন্ধিত বিদেশিদের সাধারণ ক্ষমা দিতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, চলমান মহামারি শুরুর প্রথম দিকে বলা হয়েছিল বৈধ-অবৈধ বিদেশি অভিবাসীদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। সে সময় তাদের কোনো পুলিশি হয়রানি বা গ্রেফতার করা হবে না। এমন প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও অবৈধ অভিবাসীদের হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিবাসীদের প্রতি সরকার কর্তৃক এমন প্রতারণার পুনরাবৃওি যেন না ঘটে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে।
এদিকে দেশটির সিনিয়র সুরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব, গত বছরের মার্চ মাসে কুয়ালালামপুরের শ্রী পেটালিং মসজিদে একটি তাবলীগের সমাবেশে অংশ নেওয়া সকল অনিবন্ধিত অভিবাসীকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন এবং তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে-তাদের শাস্তি হবে না। এরপরে মে মাসে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ওপর একের পর এক অভিযান চলে।
টেনাগানিটার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরিন দাস বলছিলেন, সে সময় অনেক অনিবন্ধিত ব্যক্তি-বিশেষত শরণার্থী, আশ্রয় প্রার্থী এবং যারা তাদের আইনিকরণের বিষয়ে অভিবাসন বিভাগের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা গত মার্চ মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা, ট্রেসিং এবং চিকিৎসা পরিচালনার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। তবে মে মাসে যখন অভিযান শুরু হয় তখন তারা নিজেকে বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যায়। যদি এইরকম কঠোর পদক্ষেপ আবার শুরু হয়, তবে পুরো জনগণ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে এমনটি ধারণা করছেন টেনাগানিটার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরিন দাস।