পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৭০৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫২১ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ৩১২ জন।
সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৯ লাখ ২ হাজার ৫৫০। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৮ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৯ জন।
এদিকে ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৪ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬০১ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৭ জন।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৭৯ হাজার ১৯৪ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৪২ জন।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৯। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৭ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৭ জন।
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৮৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৮১ হাজার ৪৪৮ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫৩ জন।
এদিকে, স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজার ৭৪৭ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৬। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৯৩ হাজার ৪৫ জন।
এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থান তালিকায় ৮৩তম স্থানে। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।