বিএসটিআই’র নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা করা হয়। সোমবার (২ মার্চ) পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
বিএসটিআই জানায়, পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গৌরী (Goree) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫.৮৫ পিপিএম; পাকিস্তানের এস. জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী (Chandni) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬২৯.৯৬ পিপিএম; পাকিস্তানের কিউ. সি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস (New Face) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৩৮ পিপিএম; পাকিস্তানের ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ (Due) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ২৮৫.৮৮ পিপিএম।
এছাড়া পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকস প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল (Golden Pearl) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬৫৪.১৩ পিপিএম; পাকিস্তানের পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা (Faiza) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৪৫ পিপিএম; পাকিস্তানের নূর গোল্ড কসমেটিকসের নূর (Noor) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ১৯৩.৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০.৬৮ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস (White Pearl Plus) ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৯৪৮.৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪.৭৩ পিপিএমের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানে (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯) মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম।
মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি (পারদ) ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রঙ ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধ করার জন্য প্রতিবেদনে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় আমদানিকারক/সরবরাহকারী/বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার হতে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। বিএসটিআই’র লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।