ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ঘোষিত লভ্যাংশের ওপর ৫ শতাংশ কর অব্যাহতির জন্য আগামী রেকর্ড ডেটের আগে নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, ব্যাংক এক্যাউন্ট নম্বর ও রাউটিং নম্বর, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ১২ ডিজিটের টিআইএন নম্বর হালনাগাদ করার অনুরোধ করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো বিনিয়োগকারী টিআইএন হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের সেকশন ৫৪(বি) অনুযায়ী, তাদের লভ্যাংশের উপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আর যাদের ১২ সংখ্যার টিআইএন আপডেট রয়েছে তাদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে।
এদিকে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছে মার্জিন ঋণধারীদের নাম, সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য তাদের ব্যাংক হিসাবের নাম, একাউন্ট নম্বর, রাউটিং নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যে শেয়ার হোল্ডার নগদ লভ্যাংশের যোগ্য, তাদেরকে রেকর্ড ডেটের আগে আগে সবকিছু জমা দিতে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৪৩তম কমিশন সভায় মার্জিন ঋণধারীদের লভ্যাংশ সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে না পাঠানোর নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ব্রোকারহাউজ থেকে ঋণ নিয়ে (মার্জিন) শেয়ার কিনেছেন এমন বিনিয়োগকারীরা সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ঘোষিত লভ্যাংশ পাবেন না। এ লভ্যাংশ জমা হবে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে।