মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি পুইট্টারঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গহিন পাহাড় থেকে একদল বন্যহাতি মঙ্গলবার রাতে সরই ইউনিয়নের পুইট্টারঝিরি গ্রামে নেমে পড়ে। হাতিগুলো প্রথমে পাড়ার বাসিন্দা আবুল মিয়ার বসতঘর ভাঙচুর শুরু করে। পরে একে একে ওই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর, নুরুল কবির ও আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাম্বী আমতলী পাড়ার বাসিন্দা সোলায়মান ও মফিজুর রহমানের বসতঘর ভাঙচুর করে।
এ সময় ঘরে হাতির আক্রমণ টের পেয়ে বাক প্রতিবন্ধী রহিমা বেগম আত্মরক্ষার জন্য ঘর থেকে বের হলে হাতির কবলে পড়েন। এতে হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মারা যান রহিমা বেগম।
একই সময় হাতিগুলো স্থানীয়দের ঘরে থাকা ধান, চাল, বাগানের কলাগাছ নষ্ট করে।
হাতি আক্রমণের শিকার নুরুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম ও সোলায়মান বলেন, রাতে ১৪-১৫টি বন্যহাতির একটি দল গ্রামে হানা দেয়। ঘর ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা ধান চাল খেয়ে ফেলে। রাত জেগে হাতি তাড়াতে ব্যস্ত ছিল গ্রামবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারিছ মিয়া ও নাছির উদ্দিন জানান, অনেকক্ষেত্রে রাত জেগে আগুন জ্বালিয়ে, ঢোল পিটিয়ে ও চিৎকার করেও বন্যহাতির দলকে সরানো যায়নি। বেশি ভয় দেখালে গায়ের দিকে তেড়ে আসে হাতিগুলো। এ কারণে চেয়ে দেখা ছাড়া আমাদের পক্ষে কিছুই করার থাকে না।
এদিকে লামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর জানান, হাতির আক্রমণে নিহত প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়চার জানান, উপজেলার সরই ও আজিজনগর ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। হাতির আক্রমণে নিহত প্রতিবন্ধী ও ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।