পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, গত এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমাতে ইউজিসির সুপারিশের আলোকে পরীক্ষা শুরু করা হয়েছিল। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে তারা সব পরীক্ষা স্থগিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চলমান পরীক্ষা অব্যাহত রাখার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও ইউজিসি চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট পাচ্ছে না। ফলে তারা চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা চলমান রাখার কথা বৈঠকে জানিয়েছিলাম। তবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে। তবে যে পরীক্ষাগুলো বাকি রয়েছে হল না খুলে সেই পরীক্ষাগুলো নিতে চান ওই বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্যরা। পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট পাবে। সেটি দিয়ে তারা দেশের সেবায় নিয়োজিত হবে। এতে রাষ্ট্রেরই উপকার হবে বলেও জানান ওই উপাচার্য।