এ ছাড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকা কয়রার মদিনাবাদ ও জোড়শিং এবং সাতক্ষীরার নীলডুমুর এ তিনটি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িক স্থগিত করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পূর্ব-পশ্চিম রূপসা ঘাট এবং জেলখানা ও সেনেরবাজার ঘাটে ট্রলার পারাপার বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রলার মালিকরা।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম- সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এজন্য শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা খুলনা থেকে কোনো পরিবহণ ছেড়ে যাবে না, কোনো পরিবহণ শহরে প্রবেশও করবে না। তবে এটা কোনো ধর্মঘট নয়।
অপরদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শনিবার খুলনা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে বানচাল করতে পরিবহণ এবং নদীপথে ট্রলার ও নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যত ষড়যন্ত্র ও বাধা-বিঘ্নই আসুক না কেন যে কোনো মূল্যে মহাসমাবেশ হবেই।
উল্লেখ্য, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের ছয় সিটিতে মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে খুলনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি।
এ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চোধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।