রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিট আবেদনকারীদের তথ্যমতে, পরিপত্র ও গেজেটের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা শিক্ষকেরা ২০১৩ সাল থেকে ওই টাইম স্কেলের আর্থিক সুবিধাদি ভোগ করে আসছেন। জাতীয়করণ করা ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষককে টাইম স্কেলের সুবিধা দেওয়া হয়। তবে গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেল’ সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ স্ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম চৌধুরী গত বছর ওই রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দিয়ে স্কেল সুবিধা ফেরতের পরিপত্রের কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যার শুনানি নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে রিট আবেদনকারীপক্ষ আবেদন করে, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৩ জানুয়ারি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিটটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।