রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম কাছে এক লিখিতপত্রে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া অনুমতিপত্রে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তা হলো: এ অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর কর্তৃক নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক সমাবেশ পরিচালনা করতে হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত মেনে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। সমাবেশস্থলে প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাভাবিক যান চলাচল নিশ্চিত করে রাস্তা ব্যবহার করে কিংবা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা যাবে না। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশ স্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশগেটে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভেহিকেল স্ক্যানার সার্চ মিররের মাধ্যমে সমাবেশস্থলে আগত সব যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না। অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়কের পাশে বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না। আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী, জনস্বার্থ, সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী ও জননিরাপত্তাবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না। উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেওয়া বা প্রচার করা যাবে না। সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজনকে সমাবেশস্থলে আসতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে হবে। অনুমোদিত সময়ের পূর্বে কিংবা পরে অনুমোদিত স্থানের আশেপাশেসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো ধরনের লাঠিসোটা/ব্যানার ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না। মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসা যাবে না। উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এ অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারে পক্ষে অনুমতি পত্রে স্বাক্ষর করেছেন যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) মো. মনির হোসেন।
ভার্চুয়ালি স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধন করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থায়ী কমিটি সদস্য এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।