সেই চার পরাজয়ের হতাশা পেছনে ফেলে নতুন মাসের প্রথমদিনই জয়ের দেখা পেয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। তুলনামূলক দুর্বল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে তাদেরই মাঠ থেকে ২-০ গোলে হারিয়ে এসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
লিভারপুলের এ জয়ে অবশ্য বড় অবদান রেখেছে স্বাগতিক শেফিল্ডও। কষ্টেসৃষ্টে অলরেডরা এক গোল করার পর দ্বিতীয় গোলটি উপহার দিয়েছে তারা, হজম করেছে আত্মঘাতী গোল। একের পর এক আক্রমণ করেও একবারের বেশি শেফিল্ডের রক্ষণভেদ করে যেতে পারেনি লিভারপুলের খেলোয়াড়রা।
পুরো ম্যাচে লিভারপুলের বল দখলের নিয়ন্ত্রণ কিংবা আক্রমণের ধারেকাছেও ছিল না শেফিল্ড। তবে প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল তারাই। ম্যাচের শুরুর দিকে ফ্রি-কিক থেকে আসা বল কাছ থেকে হেড করেছিলেন শেফিল্ডের ডেভিড ম্যাকগোল্ডরিক। তা ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন লিভারপুল গোলরক্ষক আদ্রিয়ান।
এরপর প্রথমার্ধে অন্তত পাঁচবার জোরালো আক্রমণ সাজায় লিভারপুল। কিন্তু প্রতিবারই সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো, মোহামেদ সালাহদের হতাশ করেন শেফিল্ড গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেল। রীতিমতো চীনের প্রাচীরে পরিণত হন তিনি। যত যাই হোক, গোল না খাওয়ার পণটা প্রথমার্ধে পূরণ করেন অক্ষরে অক্ষরে।
তবে বিরতির পর ফিরে আর নিজের জাল অক্ষর রাখতে পারেননি রামসডেল। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে ম্যাচের প্রথম গোল করেন কার্টিস জোনস। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে ফিরমিনো ব্যাকহিল ফ্লিক করলে, বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে পেয়ে যান জোন্স। জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
এই গোলের তিন মিনিট পর সাদিও মানে কাঁপান শেফিল্ডের জাল। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটের সময় আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। ফিরমিনোর শট শেফিল্ডের ডিফেন্ডার কিন ব্রায়ানের পায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়। শেষ দিকে সালাহ সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন।
শেফিল্ডকে ২-০ গোলে হারানোর পরেও পয়েন্ট টেবিলে কোনো উন্নতি ঘটেনি লিভারপুলের। ২৬ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টেবিলের তলানিতে থাকা শেফিল্ডের সংগ্রহ ২৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ম্যানচেস্টার সিটি।