আরিফ খান অর্থসংবাদকে বলেন, একাধিক বড় গ্রুপের সাথে শেয়ারহোল্ডিং নিয়ে নতুন কিছু করতেই আইডিএলসি ছেড়েছি।এছাড়াও আরও কয়েকটি বড় অফারও রয়েছে।
এর আগে তিনি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করে ২০১৬ সালে আইডিএলসির এমডি হিসেবে যোগ দেন। এমডি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। আরও এক বছরের বেশি এমডি হিসেবে তাঁর চুক্তির মেয়াদ ছিল। মেয়াদ শেষের আগেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। নিয়োগের চুক্তি অনুযায়ী, পদত্যাগপত্র কার্যকর করার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আইডিএলসি সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই করপোরেট খাতের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে আর্থিক খাতে কাজ করতে চান। আর এ কারণেই আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি ২০১৫ সালে আইডিএলসিতে যোগ দেওয়ার পর সবার সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। এই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৩ শতাংশ, সম্পদ বেড়েছে ৭২ শতাংশ এবং ঋণখেলাপী (এনপিএল) সর্বনিম্ম অবস্থানে। বর্তমানে আইডিএলসির এনপিএল ৩ শতাংশের কম।
আরিফ খান একজন চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিএফএ ইনস্টিটিউটের একজন সদস্য। তিনি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) একজন ফেলো সদস্য (এফসিএমএ)। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রি ছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।