সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে সামিয়া রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি শুরু থেকে প্রতি হিংসাপরায়ণ আচরণ করেছেন। দীর্ঘ ৪ বছর তারা তদন্ত ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। প্রতিটি মিটিংয়ের পর তদন্ত কমিটির দু তিনজন সদস্য সাংবাদিকদের ডেকে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন তদন্ত শেষ হবার আগেই। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই আমার বিরুদ্ধে রায় তারা তৈরি করে রাখেন।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল পর্যন্ত বলেছে ন্যায়বিচার হয়নি। আমার বেলায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা এ ধরনের সুপারিশ করেনি বা রায় দেয়নি। ট্রাইবুন্যালের আহ্বায়ক ড. রহমত উল্লাহ, সদস্য জিনাত হুদা নিজে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন একদমই ন্যায়বিচার হয়নি।
সামিয়া রহমান বলেন, শিকাগো জার্নালের যে চিঠির ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মিডিয়া ট্রায়াল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শাস্তির সুপারিশ করেছে, ডিমোশন দিয়েছে - সেই চিঠিটিই আদতে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট। শিকাগো জার্নাল থেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই ধরনের কোনো চিঠি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আজ পর্যন্ত পাঠানো হয়নি। অ্যালেক্স মার্টিন নামে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনো কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো ইউনিভার্সিটি এবং শিকাগো প্রেসেও অ্যালেক্স মার্টিন বলে কেউ নেই। শিকাগো জার্নালের এডিটর ক্রেইগ ওয়াকার নিজে জানিয়েছেন অ্যালেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনো শিকাগো জার্নালে ছিলেন না।
গত ৪ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চাপে ও তদন্তাধীন বিষয় বলে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম। তার সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। অবশ্যই বাংলাদেশের আদালতের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে আদালতেই যাচ্ছি।
২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে আসে। এরপর তাদের শাস্তি নির্ধারণে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের সুপারিশের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর লেকচারার থাকার সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট।