এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই নারীদের বয়স ১৮ থেকে ২০। দুটি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে হামলার পর চতুর্থ আরও এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার প্রধান হামলাকারীকে তারা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তালেবানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তালেবানের হামলার শিকার হচ্ছেন। যে তিনজন নারীকে হত্যা করা হয়েছে তারা বেসরকারিভাবে পরিচালিত ইনিকাস টিভি স্টেশনের ডাবিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ইনিকাস টিভির প্রধান জালমাই লাতিফি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুরসাল ওয়াহিদি নামের এক নারী কর্মী বাড়ি ফেরার পথে বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। বাকি দু’জন হলেন শাহনাজ এবং সাদিয়া। তারা পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন। ওই নারী কর্মীরাও বাড়ি ফেরার পথেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এএফপিকে জালমাই লাতিফি বলেন, ‘তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে। তারা কাজ শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।’ এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় আহত এক নারীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ইনিকাস টিভি স্টেশন জানিয়েছে, তাদের ১০ জন নারী কর্মী আছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে মালালাই মাইওয়ান্দ নামে এক সংবাদ উপস্থাপিকা নিহত হন। এ পর্যন্ত তাদের চারজন নারী কর্মী নিহত হয়েছেন। এদিকে, গত মাসেই রাজধানী কাবুলে সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী বিচারককে হত্যা করা হয়।