শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাথে কেক কেটে লেই ফাং ডে উদযাপনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটি চাইনিজ কমিউনিটিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু সহ এতিম এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রােগ্রামে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে এই স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওভারসীজ এডুকেশন স্কুলের সার্বিক সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা লেই ফাং ডে উদযাপনের জন্য নানা কর্মসূচি পালন করে। তারা নানছাং শিহু ডিস্ট্রিক্ট মডার্ন হ্যান্ডিক্যাপেড এডুকেশন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে খাবার এবং উপহার সামগ্রী বিতরন করে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা নাচ, গান এবং নানা ধরনের গেম খেলার মাধ্যমে শিশুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও টিম লিডার মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম জানান, লেই ফাং পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি চীনসহ সকল দেশের স্বেচ্ছাসেবীদের আইকন। যখন আমরা লি ফ্যাং নিয়ে চিন্তা করি তখন আমরা নিঃস্বার্থতা, বিনয় এবং উৎসর্গতা সম্পর্কে চিন্তা করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্লোগান হল ‘‘ফর এ স্মাইল’’। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের সমাজের প্রতি দায়িত্ব আছে। আমরা সবাই পৃথিবী নামক একটা পরিবারের সদস্য। আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু সহ এতিম এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মাঝে হাসি ফুটাতে চাই।
লেই ফাং ডে উপলক্ষে লেই ফাং এর জীবনীর উপর এক বিশেষ আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। লেই ফাং এর জীবনীর উপর আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওভারসীজ এডুকেশন স্কুলের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিস ফান ইং, নানছাং শিহু ডিস্ট্রিক্ট মডার্ন হ্যান্ডিক্যাপেড এডুকেশন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের ব্রাঞ্চ পরিচালক মিস ঝু লেই, চাইনিজ ভলান্টিয়ার টিমের লিডার ওয়াং শিআও, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কারমেন এবং মিগুয়েল। আলোচনা সভায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক এবং চাইনিজ শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পিতামাতারা উপস্থিত ছিলেন।