আজ শনিবার (৭ মার্চ) সকালে জেলার চারঘাট এলাকা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি। তবে ওই নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও ২০ জন। নিখোঁজদের খুঁজতে পদ্মায় শনিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
এর আগে শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলে। পরে মধ্যরাতে উদ্ধার অভিযানের সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে মোট তিনটি ইউনিট আবার উদ্ধার অভিযানের নেমেছে। এর মধ্যে রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর সীমান্তে পদ্মানদী থেকে বোরকা পরা অবস্থায় মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবির টহল দল। তবে এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
বর্ণিল উৎসবের রেশ না কাটতে না কাটতেই শুরু হলো শোকের মাতম! এ ঘটনায় বর আসাদুজ্জামান রুমনকে (২৫) উদ্ধার করা হলেও কনে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। কনেসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে নদীর তীরে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে খুঁজে বেরাচ্ছেন বর।
নিহতরা হচ্ছে- কনে সুইটির মামাতো বোন রোশনি (৭) ও রতনের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৮)। অপর নারীর নাম এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়ার সময় ওই নৌকায় বর-কনেসহ প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, পদ্মার চর খানপুর থেকে বিয়ে করে কনেসহ বরযাত্রীবাহী একটি নৌকা রাজশাহী নগরীতে ফিরছিল। এই সময় যাত্রীসহ শ্রীরামপুর এলাকায় নৌকাটি ডুবে যায়। এরমধ্যে অন্তত ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি ও ডুবুরিরা।