হাজির হওয়ার নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) পিপিলস লিজিংয়ের খেলাপিদের তলব করা তালিকাভুক্তরা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন।
হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি চলছে। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি মোট ২৮০ জনকে তলব করেছিলেন আদালত। তারই ধারাবাহিতায় তাদের মধ্যে ১৪৩ জনের গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন ৫১ জন উপস্থিত হন। এরপরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিলে বাকি ১৩৭ জনের। ওই দিন আদালতে ৩৬ জন উপস্থিত হন। আজ আরও খেলাপিরা উপস্থিত হচ্ছেন।
এর আগে হাইকোর্ট তার আদেশে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার পাশাপাশি এই ২৮০ জনকে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণ দর্শাতেও বলেছিলেন। হাইকোর্টের নির্ধারিত দিনে আজ তাদের বক্তব্য শুনছেন আদালত।
এছাড়া আজ দুপুর ২টার পরে ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে কীভাবে সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের মতামত শুনানির জন্য সময় নির্ধারিত রয়েছে একই আদালতে। হাইকোর্টের নির্ধারিত দিনে আজ এই তিন প্রতিষ্ঠান প্রধানের বক্তব্য শুনবেন আদালত। তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হতে না পারলে তাদের তিনজনের আলাদা তিনজন প্রতিনিধিকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
এর আগে পিপলস লিজিংয়ের ঋণ খেলাপিদের শুনানিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ ভার্চুয়াল কোর্টে দুদক ও বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এ বিষয়ে বক্তব্য শুনতে সময় নির্ধারণ করে আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ।