এডিবি বলেছে, বৈশ্বিক জিডিপি এ বছর শূন্য দশমিক ১ থেকে দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। এ ছাড়া আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ৩৪ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত।
শনিবার এডিবি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত দেশীয় অর্থনীতি, পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসা, বাণিজ্য ও উৎপাদন ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্য সেবা খাত সমূহে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
এডিবির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে উন্নয়নশীল এশিয়ান অর্থনীতিগুলি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই দেশগুলি তাদের মোট জিডিপির ০.১৭ থেকে ০.৪৬ শতাংশ হারাবে। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বর্তমান চিত্রের তথ্যমতে, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে শুরু করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। আর এই নিষেধাজ্ঞার পর ভ্রমণে স্থিতিশীলতা আসতে কমপক্ষে তিনমাস সময় লেগে যাবে। এতে বিশ্বব্যাপী ১৫৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে যা মোট জিডিপি'র ০.২ শতাংশ।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) এরইমধ্যে তাদের অর্থনীতিতে ১০৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ০.৮ শতাংশ লোকসানের কথা জানিয়েছে। এতে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে ২২ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ০.২ শতাংশ হারাবে।
এডিবির চিফ ইকোনমিস্ট ইয়েসুউকি সাওয়াদা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এটির জন্য প্রয়োজন সম্ভাব্য ক্ষতির একটি পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরা। করোনাভাইরাস পরবর্তী প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে আমরা আশা করছি এই বিশ্লেষণ সরকারকে সাহায্য করবে। মানবিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব প্রশমিত করতে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করবে।