শনিবার (১৩ই মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ রাজুর স্মরণে নির্মিত স্মৃতি ফলকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, ঢাকা কলেজ সংসদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, রাজুর মিছিলের সাথীরা, রাজু সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শ্রদ্ধা জানায়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন রাজুর মিছিলের সাথী চির রঞ্জন সরকার।
রাজুর মিছিলের সাথী ও ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আবদুল্লাহ মাহমুদ খান রাজুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আর রাজু বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র ছিলাম। রাজু একটা কথা বলতো, বিজ্ঞান পড়ার চাইতে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া জরুরি। সেই সময়টাকে আমি মনে করতে চাই। আমরা যেদিন প্রথম ক্লাস করি। সেদিনই জহুরুল হক হল ও মহসিন হলে গোলাগুলি হয়। সেদিন থেকেই আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাই ক্যাম্পাসের এই পরিবেশের সঙ্গে। ওই সময় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসের প্রতি প্রীতি এবং ভীতি কাজ করতো। সেসময় আরো একটা বড় সমস্যা ছিল, সেটি হচ্ছে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষ বাষ্প ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে রাজু খুবই তৎপর ছিলো।’
শ্রদ্ধা নিবেদন সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মধুর রেস্তোরা থেকে রাজু দিবস উপলক্ষ্যে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি কলা ভবন-রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ রাজু স্মৃতি ফলকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মিছিল করতে গিয়ে তাদের গুলিতে রাজু শহীদ হন। আমরা আজও দেখতে পাই সেই ছাত্রলীগ প্রত্যেকটা হল ও ক্যাম্পাসে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রগতিশীল সংগঠনসমূহ তাদের আধিপত্য রুখবো। ’
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের প্রতিবাদে মিছিল বের করে গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্য। মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে শহীদ হন তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজু।