‘সমৃদ্ধির প্রেরণায়’ এ স্লোগান সামনে রেখে নির্ভরযোগ্য ব্যাংকিং সেবা গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ১০ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পথ চলা শুরু হয়। আর ১১ মার্চ গুলশানে করপোরেট শাখা উদ্বোধনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে ব্যাংকটি।
করোনকালীন অর্থনীতির গতি যখন মন্থর, তখন প্রথম দিনের এ কার্যক্রম নতুন ব্যাংক হিসেবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থার প্রমাণ বলেই মনে করছেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। আর গ্রাহকের আস্থা অর্জনে ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সুনাম এবং অভিজ্ঞ ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের প্রচেষ্টা বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন তারা।
ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বলছে, গ্রাহকদের এ আস্থাকে পুঁজি করেই সামনের দিনে আধুনিক ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক। চলতি বছরই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক শাখা এবং উপশাখা স্থাপন করে সেবার পরিধি বিস্তৃত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে ব্যাংকটি।
বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের আরেকটি বড় সাফল্য হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন থেকেই অন্য কোনো ব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই বিএসিএইচের মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং হাউজের সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন, যা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে প্রথম।
এর আগে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪০২তম পর্ষদ সভায় ব্যাংকটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যাংকটির মোট উদ্যোক্তা ২৪ জন। দেশের একাধিক শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও গ্রুপ ব্যাংকটির অংশীদার হিসেবে যুক্ত আছেন। ম্যাক্স, লাবিব, কেডিএস, এম আলম, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, প্যাসিফিক, বিবিএস কেবলস ও কটন গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোক্তারা বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের অংশীদার হিসেবে আছেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারিক মোর্শেদ।