ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভর্তি প্রক্রিয়া কয়েক দিন বন্ধ থাকায় সময় বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এবার আবেদনপ্রক্রিয়ার শুরুর দিকেই আগের চেয়ে অনেক গুণ বেশি আবেদন পড়েছে। প্রথম দিকে এত আবেদন আগে কখনো পড়েনি। প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচ ইউনিটে মোট ১ লাখ সাড়ে ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ফলে, ওয়েবসাইটের বেশ চাপ পড়েছে। এ কারণেই মূলত এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। গতবার পাঁচ ইউনিটে ২ লাখ ৭০ হাজার আবেদন পড়েছিল। এবার হয়তো পাসের হার বেশি, এবার সাড়ে তিন লাখ হতে পারে।
মার্চ মাস পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কারিগরি জটিলতার কারণে যে সময়টুকু নষ্ট হচ্ছে, এপ্রিল মাসে সেই সময়টুকু বাড়িয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যাদের আবেদনে কোনো ভুল হয়েছে, সেগুলো সংশোধনের উপায়ও আসছে। আগে তদন্ত করে আমরা ভুলগুলো শনাক্ত করছি। আশা করি, ওয়েবসাইটের সক্ষমতা বাড়ালে আর সমস্যা থাকবে না। এ ছাড়াও কোনো শিক্ষার্থীর আবেদনে কোনো ধরনের সমস্যা শনাক্ত হলে শিক্ষার্থীদের ফোন করে আমরা যাচাই করে নেব।
এর আগে, গত সোমবার বিকেল পাঁচটায় ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তবে শুরু থেকেই ওয়েবসাইট জটিলতায় ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেও অনেকেই সফল হননি।
ভর্তি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, অনেক বেশি আবেদনের অনুরোধ আসায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে শুরুর দিন থেকেই বিষয়টি শীঘ্রই সমাধান করার আশ্বাস দেওয়া হলেও সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরেও একই সমস্যা দেখা যায়।
পরে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত একটি বার্তায় বলা হয়, এখন পর্যন্ত মোট এক লাখ পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। বর্তমান সিস্টেমে প্রচণ্ড চাপের কারণে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দুর্ভোগ কমানোর উদ্দেশ্যে আরও দুইটি সার্ভার স্থাপনের কাজ আজ হতে আগামী রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এসময় ভর্তির আবেদন গ্রহণ স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে ভর্তি আবেদনের ও টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখ সমন্বয় করা হবে।