বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের করোনা প্যাকেজ পাসের কারণেই এই রেকর্ড উত্থান বিটকয়েনের। গত বুধবার ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারের ওই বিল কংগ্রেসে পাস হয়।
চলতি বছর তরতর করে বাড়ছে বিটকয়নের দাম। গত বছরের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বেড়ে তিন গুণ হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে ভার্চ্যুয়াল এই মুদ্রাবাজারের সর্বমোট মূল্য আবার ১ লাখ কোটি ডলার ছাড়ায়। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা এটাও বলছেন, অর্থ প্রদানের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েনের গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে এর পেছনে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। মাস্টারকার্ডও নির্দিষ্ট ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্থ প্রদানের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করারও পরিকল্পনা করছে। বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদ ব্যবস্থাপক ব্ল্যাকরকও ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহারের উপায় খুঁজছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিও বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রেখেছে, কারণ ব্যাপকভাবে অনলাইন কেনাকাটা ও অনলাইনে অর্থ প্রদানের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিউজ সাইট কয়েনডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, বিটকয়েন এ বছর ২৮ হাজার ৯০০ ডলারে শুরু করেছিল। জানুয়ারির শুরুতে দাম ৪০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে আবার কমে ৩০ হাজারে নামে। পরে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার বিনিয়োগের পর আবারও দাম বাড়তে থাকে দাম। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে বিটকয়েন। ২১ ফেব্রুয়ারি ৫৮ হাজার ডলারে পৌঁছায়। এবার ৬০ হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করল বিটকয়েন। গত এক বছরে বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৫৭০ শতাংশের বেশি।