রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে আগামী ২৪ কর্ম ঘণ্টার মধ্যে কিশোরকে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
ঢামেকের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের চিকিৎসককে প্রধান করে অর্থোপেডিক বিভাগের একজন ও মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে ওই মেডিকেল বোর্ড গঠন করার কথা জানিয়েছেন আদালত।
কার্টুন আঁকার অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ১০ মাস কারাবন্দি থাকার পর গত ৪ মার্চ কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর।
গত বছরের মে মাসে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। কিশোর ও মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
এ বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি কিশোর, মুশতাক ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাকি সাত আসামি সাংবাদিক তাসনীম খলিল, সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার বিদেশে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ দেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক ও মামলাটির নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আফছর আহমেদ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এর একদিন পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি অবস্থায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।