বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর মাসিক ভিত্তিতে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এডিপিতে খরচ হয়েছিল ৮০ হাজার ১৪৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, অর্থাৎ বাস্তবায়ন হার ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই সময়ে এডিপিতে খরচ হয়েছিল ৭০ হাজার ৭৭১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, অর্থাৎ বাস্তবায়ন হার ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই সময়ে এডিপিতে খরচ হয়েছিল ৬২ হাজার ৩৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, অর্থাৎ বাস্তবায়ন হার ৩৮ দশমিক ০১ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এডিপিতে খরচ হয়েছিল ৪৫ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা, যার বাস্তবায়ন হার ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাজেট চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
সংশোধিত এডিপির আকার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর আগে এডিপি আকার ছিলো ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। তবে, সংশোধিত এডিপি বা চূড়ান্ত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা খাতে কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। ফলে চূড়ান্ত উন্নয়ন বাজেট দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ সাড়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, করোনার কারণে এডিপি বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিদেশি কর্মী, সরঞ্জাম আসতে পারে। এখন সবকিছু সচল হতে শুরু করেছে। আশা করি, বছর শেষে বাস্তবায়ন হার ৮০ শতাংশের বেশি হবে।