মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন স্করেনার বার্জানার রক্তক্ষয়ী এ হতাকা-ের কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে অভ্যুত্থানবিরোধরীরা আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছেন জানতে পেরে জান্তা মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের কয়েকটি এলাকায় অংশবিশেষে ‘মার্শাল ল’ জারি করেছে। এছাড়া, সেনা সরকার সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের শুনানি ১০ দিন পিছিয়েছে।
রোববার শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত হ্লায়াইং থারইয়ায় চীনের বেশ কয়েকটি কারখানায় হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা দুইটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় ছুরি ও লাঠি হাতে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এতে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসকে (এএপিপি) দেশটির এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক বলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। আমি চোখের সামনে গুলি করে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করতে দেখেছি। এমন নৃশংস দৃশ্য জীবনেও ভুলতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, চোখের সামনে গুলি করে পাখির মতো মানুষ মেরে ফেলছে জান্তা সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রবিবার সারা দিন গুলির শব্দ শোনা যায় এবং রাস্তায় সামরিক ট্রাকের টহল ছিল। এক পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, পুলিশ ভারী অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। পরে পোস্ট মুছে ফেলে টিকটক পোস্টে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কোনো দয়া দেখাবো না।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৭০ বিক্ষোভকারী নিহত এবং ১২৯ জন হয়। এ নিয়ে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১৮০ জনে ছাড়িয়েছে। ডাক্তার এবং উদ্ধারকারীরা আরও নিহতের আশঙ্কা করছেন।